বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের পরিবর্তনের ইতিহাসকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয় 
      প্রাচীন যুগ (৯৫০-১২০০খ্রিস্টাব্দ)
           1.     মধ্যযুগ (১৩৫০-১৮০০খ্রিস্টাব্দ)
           2.     আধুনিক যুগ (১৮০০খ্রিস্টাব্দ-বর্তমানকাল)

এ-তিন যুগের সাহিত্যই বাঙলা সাহিত্য, কিন্তু তবু বিষয়বস্তুতে, রচনারীতিতে এ-তিন যুগের সাহিত্য তিন রকম।

সূচিপত্র

বাংলা সাহিত্যের ক'এক জন কবি ও সাহিত্যিক

        ১.১প্রাচীন যুগ (৯৫০-১২০০খ্রিস্টাব্দ)

        ১.২মধ্যযুগ (১৩৫০-১৮০০খ্রিস্টাব্দ)

        ১.৩আধুনিক যুগ (১৮০০খ্রিস্টাব্দ-১৯০০খ্রিস্টাব)

        ১.৪উত্তর আধুনিক যুগ (১৯০০খ্রিস্টাব্দ-১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ)

        ১.৫বর্তমান

বাংলা সাহিত্যের ক
'এক জন কবি ও সাহিত্যিক
প্রাচীন যুগ (৯৫০-১২০০খ্রিস্টাব্দ)

        চর্যাপদ

        জয়দেব

        মুকুন্দদাস


মধ্যযুগ (১৩৫০-১৮০০খ্রিস্টাব্দ)


বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসেমধ্যযুগের (১২০০-১৮০০ খ্রিস্টাব্দ)শুরুতে (১২০০-১৩৫০ খ্রিস্টাব্দ) সময়কে কোন কোন গবেষকবাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগবলে অভিহিত করে থাকেন। ১২০৮ খ্রিস্টাব্দ তুর্কী বীরইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজিরবাংলা বিজয়ের পর বাংলায় মুসলিম শাসনের গোড়াপত্তন হয়। কেউ কেউ মনে করেনএই রাজনৈতিক পরিবর্তন বাংলার শিক্ষা সমাজ এবং সাহিত্যকে ঋণাত্মকভাবেপ্রভাবিত করে, যে কারণে কোন উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি হয় নি। ১৩৪২খ্রিস্টাব্দেবড়ু চন্ডীদাসরচিতশ্রীকৃষ্ণকীর্তনরচনার আগ পর্যন্ত এ সময়টাই অন্ধকার যুগ। তবে এটি একটি বিতর্কিত অভিধা।

আধুনিক যুগ (১৮০০খ্রিস্টাব্দ-১৯০০খ্রিস্টাব)

        ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

        রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

        মাইকেল মধুসূদন দত্ত

        বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

        শরত্চন্দ পণ্ডিত


উত্তর আধুনিক যুগ (১৯০০খ্রিস্টাব্দ-১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ)


        কাজী নজরুল ইসলাম

        শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

        বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়

        বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়

        শিবরাম চট্টোপাধ্যায়

        জীবনানন্দ দাশ

        সুকুমার রায়

        উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

        অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত

        অক্ষয়কুমার দত্ত

        অদ্বৈত মল্লবর্মন

        সৈয়দ মুজতবা আলী

        সুকান্ত ভট্টাচার্য


বর্তমান


        দীপক মজুমদার

        আনন্দ বাগচী

        শঙ্খ ঘোষ

        সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

        মানিক বন্দোপাধ্যায়

        তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়

        সতীনাথ ভাদুড়ী

        বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়

        শরদিন্দু মুখোপাধ্যায়

        আশাপূর্ণা দেবী

        মহাশ্বেতা দেবী

        লীলা মজুমদার

        নলিনী দাস

        বিমল কর

        সমরেশ বসু

        সুভাষ মুখোপাধ্যায়

        শামসুর রাহমান

        সমীর রায়চৌধুরী

        শক্তি চট্টোপাধ্যায়

        নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

        শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

        সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

        বুদ্ধদেব গুহ

        ফালগুনী রায়

        জয় গোস্বামী

        সমরেশ মজুমদার

        সত্যজিত্ রায়

        হুমায়ুন আজাদ

        আহমদ শরিফ

        হুমায়ুন আহমেদ

        সুবিমল বসাক

        বেগম রোকেয়া

        তসলিমা নাসরিন

        দেবী রায়

        কেদার ভাদুড়ী

        শওকত ওসমান

        আলাউদ্দিন আল আজাদ

        অতীন বন্দোপাধ্যায়

        অদ্রীশ বর্ধন

        অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

        আল মাহমুদ

        অন্নদাশংকর রায়

        আখতারুজ্জামান ইলিয়াস

        মুস্তফা আনোয়ার

        মলয় রায়চৌধুরী

        আফসার আহমেদ

        আবু ইসহাক

        আবুল বাশার

        আবুল মনসুর আহমেদ

        রফিক আজাদ

        বাসুদেব দাশগুপ্ত

        তাপু শিকদার

        উত্তম দাশ

        মুহম্মদ জাফর ইকবাল


তথ্যসূত্র


লাল নীল দীপাবলী বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী, হুমাযুন আজাদ, আগামী প্রকাশনী, ২০০৫, পৃষ্ঠা-১৯

আরো জনতে এখানে click করুন ।


চর্যাপদ

উইকিপিডিয়া
, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

চর্যাপদবাংলা ভাষারপ্রাচীনতম কাব্য তথা সাহিত্য নিদর্শন। নব্য ভারতীয় আর্যভাষারও প্রাচীনতম রচনাএটিখ্রিস্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত এই গীতিপদাবলির রচয়িতারা ছিলেন সহজিয়াবৌদ্ধসিদ্ধাচার্যগণ। বৌদ্ধ ধর্মের গূঢ়ার্থ সাংকেতিক রূপবন্ধে ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যেই তাঁরা পদগুলি রচনা করেছিলেন। বাংলাসাধন সংগীতেরশাখাটির সূত্রপাতও এই চর্যাপদ থেকেই। এই বিবেচনায় এটি ধর্মগ্রন্থস্থানীয় রচনা। একই সঙ্গে সমকালীন বাংলার সামাজিক ও প্রাকৃতিক চিত্রাবলিএই পদগুলিতে উজ্জ্বল। এর সাহিত্যগুণ আজও চিত্তাকর্ষক।[ক]১৯১৭খ্রীস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায়হরপ্রসাদ শাস্ত্রীনেপালেররাজদরবারের গ্রন্থশালা থেকে চর্যার একটি খণ্ডিত পুঁথি উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে আচার্যসুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে চর্যাপদের সঙ্গে বাংলা ভাষারঅনস্বীকার্য যোগসূত্র বৈজ্ঞানিক যুক্তিসহ প্রতিষ্ঠিত করেন। চর্যার প্রধানকবিগণ হলেনলুইপাদ, কাহ্নপাদ, ভুসুকুপাদ, শবরপাদপ্রমুখ।